ব্যবসা-বাণিজ্য | এই উপজেলায় সদরে অর্থাৎ শহর এলাকার বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত তিনটি শ্রেনীতে ভাগ করা যায় , শহরের মূল কেন্দ্র তৎপার্শ্বস্থ এলাকা এবং শহরতলী এলাকার মূল শহর এলাকা প্রত্যেক শ্রেনীতে প্রতিষ্ঠানের অবস্থানগত জায়গার দাম মূলধন বিনিয়োগের তারতম্য রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, অত্র শহর মূল কেন্দ্র এলাকা তন্মধ্যে বৃহৎ মূলধন বিনিয়োগ কারীর সংখ্যা ১৭টি। এবং উক্ত এলাকায় বর্তমানে প্রতিশতক জমির মূল্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য গড়ে ৪,০০,০০০/= টাকা , ব্যবসা পতিষ্ঠান ও জমির মূল্য সমতে ১২,০০,০০০/= থেকে ১৬,০০,০০০/= টাকা, প্রতিষ্ঠান বিশেষ। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উপজেলার এবং তৎপার্শ্বস্থ উপজেলা সমূহে পাইকারী ও খুচরা মূল্যে মাপ সরবরাহ করে থাকে। উক্ত এলাকার অন্তর্গত এলাকা সমূহ খুবই ব্যস্ত ব্যবসা কেন্দ্রীক এলাকা ।
শহরের মূলকেন্দ্রের তৎপার্শ্বস্থ এলাকা-উক্ত এলাকা সাধারণতঃ বিপনী এলাকা হিসেবে পরিচিত, একজন মালিকরা সংস্থা সমন্বয়ে সাধারন বিপনী এলাকা গড়ে উঠেছে । সাধারনত কাট্তির জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায় খুচরা মূল্যে, স্বল্প ভাবে সাধারন মানুষের চাহিদা মেটায়। এ সকল এলাকা সাধারনতঃ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন মালিক অথবা সংস্থা নিজস্ব মূলধন বিনিয়োগে পতিষ্ঠান গড়ে। অতঃপর একজন লোক এককালীন ছালামী টাকা জমা দিয়ে , মাসিক ভাড়ায় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু করে। মূলধন বিনিয়োগের মাত্রা = ২০০,০০০/= থেকে ৬০০,০০০/= টাকা। শহরতলী এলাকাঃ- উক্ত এলাকা সাধারনতঃ পূর্বে উল্লিখিত দুটি এলাকা ব্যতীত মূল শহরের থেকে বাহিরে রয়েছে । সে- এলাকার ব্যবসা পতিষ্ঠান সাধারণতঃ সংঘবদ্ধ নহে। শহরতলীর সাধারন মানুষের প্রয়োজনের জন্য উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্নই খুচরা মূল্যে মালামাল সরবরাহ করে থাকে । উক্ত এলাকায় প্রতি শতক জমির মূল্য উচু ১০০,০০০/= টাকা । এসকল পতিষ্ঠান সমূহে মূলধন বিনিয়োগের হার ১০০,০০০/= টাকা থেকে ৫০,০০,০০০/= টাকা।
সদর এলাকা ব্যতীত, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় উল্লেখযোগ্য হাটবাজার রয়েছে । হাট বাজার সমূহ দুই শ্রেনীতে ভাগ করা যায় যেমন - (১) পাইকারী খুচরা ও বড় পুঁজির ব্যবসা।, (২) স্বল্প পুঁজির ব্যবসা। এ হিসেবে উক্ত শ্রেনীতে মোট ৬টি বাজার আছে । বাজারগুলি সাধারনতঃ পাকা রাস্তা ও নদীর তীরে বিধায় মালামাল আদান-প্রদানে যথেষ্ট সুবিধা থাকায় পল্লী এলাকা ব্যবসায়ীক অবস্থান অত্যন্ত সাবলীল ।
আর্থিক লেন দেনের ক্ষেত্রে ১২টি ব্যাংক রয়েছে । তম্নধ্যে সদরে ৭টি অবশিষ্ট ৫টি ব্যাংক উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বলে আর্থিক লেন দেনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা রয়েছে ।
ব্যবসা পতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে মালিক, ব্যবস্থাপক ও দোকান কর্মচারী থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবার ব্যবসায়ী নিজেই সকল কিছু কাজের ভূমিকা পালন করে। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস